শিশুই জাতির ভবিষ্যত।
আজকের শিশুই আগামী দিনের নাগরিক। কাজেই শিশুর সুষ্ঠু সুন্দর পরিগঠনের উপর নির্ভর করে একটি জাতির সুন্দর ভবিষ্যত।
আজকের শিশুই আগামী দিনের নাগরিক। কাজেই শিশুর সুষ্ঠু সুন্দর পরিগঠনের উপর নির্ভর করে একটি জাতির সুন্দর ভবিষ্যত।
আর এই শিশু গড়ার, জাতি গড়ার মহান দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে মায়েদের উপরে।
নেপোলিয়ান বোনাপার্ট বলেছিলেন, “ আমাকে একটা ভাল মা দাও, আমি তোমাদের একটি ভাল জাতি দেব।”
মায়ের সুশিক্ষা, মায়ের নৈতিক শিক্ষা ও আদর্শ শিক্ষার উপর নির্ভর করছে- 'আপনি শিশুকে কি শিক্ষা দিবেন?'
কাজেই শিশুর শিক্ষা মায়েদের থেকেই শুরু করতে হবে। নারীর জন্য পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন।
এ জন্যই আজকের নারী পুরুষের একই শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করে নারীদের জন্য পৃথক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা জরুরী প্রয়োজন।
যে নারী হবে গৃহের সর্বময় কত্রী, স্বামীর স্ত্রী, সন্তানের জননী
তাকে অবশ্যই গৃহ পরিচালনার জন্য গার্হস্থ্য বিজ্ঞান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দিতে হবে। তাকে গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে। তাকে স্বামীর স্ত্রী হিসাবে, সন্তানের জননী হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্ভুল জ্ঞানের আধার মহান কোরান ও সুন্নাহর নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। আঠার হাজার মাখলুকের স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব জাতির প্রতি যত অসংখ্য, অফুরন্ত নেয়ামত দান করেছেন, পৃথিবীতে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত হচ্ছে, আল্লাহর দেয়া নির্ভুল জীবন বিধান আল কোরআন।
আলকোরআন হচ্ছে নির্ভুল জ্ঞানের আধার। আল্লাহ পাকেরই ঘোষণা “জালিকাল কিতাবু লা রাইবা ফিহ্”- “এই গ্রন্থ, এর মধ্যে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।” (সুরা আল বাকারা ১ আয়াত)। আল কোরআন হচ্ছে নৈতিক জ্ঞানের আধার। সুন্নাহ হচ্ছে আদর্শ মানব মহানবী হযরত মোহাম্মদ ( সঃ ) নির্দেশিত পবিত্র কোরানেরই ব্যাখ্যা এবং তাঁর শিক্ষা। এই কোরান ও সুন্নাহর নির্ভুল জ্ঞানের, নৈতিক জ্ঞানের প্রশিক্ষণ অবশ্যই থাকতে হবে মায়েদের। এরপরই আমরা শুরু করতে পারি, আপনি শিশুকে কি শিক্ষা দেবেন?